খুলনায় পৃথক দুটি ঘটনায় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে চার জন নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তা কমিশনারের বাড়ির কাছে দরবেশ মোল্লা গল্লির ভেতরের সড়কে একটি বাসায় নানি ও দুই নাতিকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে।
নিহতরা হলেন- আব্দুল হান্নানের স্ত্রী মহিদুন্নেসা (৫৫), নাতি মুস্তাকিম ( ৮) ও ফাতিহা (৬)। তিনজনের লাশ তাদের বসত ঘরের পাশে মুরগির খামারের মধ্যে পাওয়া যায়।
তাদের মা শাহীতুন নেসা ও বাবা শিফার আহমেদ। শিশুদের বাবা-মা দুইজনই চাকুরী করেন। তারা কর্মস্থলে থাকায় তাদের দেখাশোনা করতেন নানি।
লবনচরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, রাতে লবণচরা এলাকা থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশু ও তাদের নানি রয়েছেন। শিশু দুটির বাবা-মা চাকরি করেন। সকালে তারা শিশু দুটিকে নানির কাছে রেখে কাজের উদ্দেশে বের হয়ে যান। সন্ধ্যায় তারা দুজন বাড়িতে ফিরে এসে দরজায় নক করলে তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে নানির মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর তারা ঘরের পাশে মুরগির ঘর থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
লবণচরা থানার কর্মকর্তারা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত রহস্যজনক। তদন্ত চলছে এবং হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে, একই দিন সন্ধ্যার দিকে সোনাডাঙ্গা থানার করিমনগর এলাকায় আলাউদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা জানান, ছয়জন মোটরসাইকেলে এসে প্রথমে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে, পরে ছুরি মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, নিহত আলাউদ্দিন মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ দুই ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে।