শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড লটারি স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন দিনাজপুর জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মিতা গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টায় হাদি হত্যার অগ্রগতি না জানালে আবারও শাহবাগ অবরোধঃ ইনকিলাব মঞ্চ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড একটি ভয়াবহ ঘটনা: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি ময়মনসিংহে হিন্দু যুবক হত্যার ঘটনায় আরও ৩ জনসহ গ্রেপ্তার ১০ এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার মারা গেছেন বাংলাদেশি ৬ শান্তিরক্ষীর মরদেহ পৌঁছেছে, জানাজা কাল

অতি তীব্র তাপদাহে পুড়ছে যশোর, রাস্তাঘাট জনশূন্য

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭:২৬ অপরাহ্ন

যশোরে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। অতি তীব্র তাপদাহে জনশূন্য হয়ে পড়েছে শহরের রাস্তাঘাট। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউই। যাত্রীর অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন হাতেগোনা যানবাহনের চালকেরা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল পৌনে তিনটার দিকে যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩৫ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।

শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা মোড় থেকে শুরু করে সিভিল কোর্টের মোড় হয়ে চাঁচড়া চেকপোস্ট হাইওয়ে পর্যন্ত পুরো আড়াই কিলোমিটার সড়কে শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিনই তীব্র যানজট লেগে থাকে। শহরের প্রবেশপথ এ সড়ক দিয়ে মানুষজন বিভিন্ন অফিস-আদালত, হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। ফলে মানুষের উপস্থিতি এবং যানবাহনের চলাচল সব থেকে বেশি থাকে সড়কটিতে।

তবে শনিবার সড়কটির চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। তীব্র তাপদাহে জনশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো সড়কটি। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও ছিল নগণ্য। শুধু মুজিব সড়কই নয়, শহরের বড়বাজারসংলগ্ন দড়াটানা মোড়, বকুলতলা, গরিব শাহ সড়ক, জেল রোডসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এ সকল সড়কেও নেই যানবাহনের উপস্থিতি। দু-একটা ইজিবাইক, রিকশা দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের।

শহরের জিরো পয়েন্টে রাস্তার ওপর রিকশা রেখে জজ কোর্টের প্রাচীরের গায়ে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রিকশাচালক জমির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহর পুরো ফাঁকা হয়ে গেছে। এত গরমে মানুষ বের হবে কী করে? পেটের দায়ে বের হয়ে যাত্রী পাচ্ছি না। ভাড়ার রিকশা চালাই, মহাজনকে দেওয়ার মতো টাকা এখনও ওঠেনি। নিজের জন্যে তো দূরের কথা।’

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৭ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানতে চাইলে যশোর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, ‘এই সময়ে ডায়রিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, পক্স, হিটস্ট্রোক, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি হতে পারে। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে কেউ যেন ডিপ ফ্রিজের পানি পান না করেন। এ সময় প্রচুর পানি, ডাবের পানি, দেশি ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন।’ দিনমজুর বিশেষ করে কৃষকরা যেন বেলা ১১টার মধ্যে এবং বিকালে তাপমাত্রা কমলে কাজ করেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর