দিন-রাতের তারতম্য হওয়ায় অনেকেই এখন জ্বর, ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছেন। কয়েকদিনের মধ্যে সর্দি, জ্বর কমে গেলেও কাশি কিছুতেই পিছু ছাড়তে চায় না। রাতে শোওয়ার সময়ে কাশির দাপট আরও বাড়ে। ফলে ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটে। অনেক সময় সিরাপ খেয়েও কোনও কাজ হয় না। খুসখুসে শুকনো কাশি সারা ক্ষণই হতে থাকে। এ কারণে কাশি কমাতে ওষুধের পাশাপাশি ভরসা করা যেতে পারে ঘরোয়া সমাধানের উপর।
গরম পানি: ঠান্ডা পানি কাশি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই কাশি না কমা পর্যন্ত হালকা গরম পারি খান। হালকা গরম পানি খেলে গলায় আরাম পাবেন এবং কাশিও দ্রুত কমবে। এর পাশাপাশি গরম স্যুপ এবং ভেষজ চাও খেতে পারেন। এতে গলা জ্বালা কমবে এবং শুকনো কাশি ভালো হবে।
আদা পানি: খুসখুসে কাশি দূর করতে আদার জুড়ি মেলা ভার। আদা শ্বাসনালির থেকে কফ বার করতে সাহায্য করে। আদার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। আদা টুকরো করে সামান্য লবণ মাখিয়ে খেলে কাশি কমতে পারে। বাজারে শুকনো আদাও কিনতে পাওয়া যায়। মুখে শুকনো আদা রাখলেও উপকার পেতে পারেন। এ ছাড়া, আদা চা বানিয়েও খেতে পারেন।
লবণ পানি দিয়ে কুলিকুচি করা: লবণ পানি দিয়ে কুলিকুলি গলা ব্যথার সমস্যায় সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। লবণ পানি দিয়ে কুলিকুচি করলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যায়। অর্ধেক গ্লাস গরম পানিতে কিছুটা পানি মিশিয়ে দু’বেলা কুলিকুচি করুন। উপকার পাবেন।
মধু পানি : কাশি দূর করার সবচেয়ে প্রাচীনতম ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে অন্যতম মধু। কাশির পাশাপাশি গলা জ্বালাও সারিয়ে তোলে মধু। মধুতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণও দূর করে।
ভাপ নেওয়া: গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে ভাপ নিতে পারেন। আবার শুধু গরম পানিতেও ভাপ নেওয়া যেতে পারে। গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিতে ভাপ নেওয়া বেশ কার্যকর।