সবার শরীরেরই কোথাও না কোথাও কালো তিল থাকে। তবে কিছু মানুষের তিল লাল হয়ে থাকে। অনেকেই বলে থাকেন, লাল তিলযুক্ত ব্যক্তির ভবিষ্যতে ক্যান্সার হতে পারে।
এই ধারণা কি আসলেই সত্যি? এই প্রশ্নটি মানুষের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করে। যাদের লাল তিল নেই তারাও এটিকে ভয় পান।
কিন্তু সত্যিটা কী? লাল তিল কি আসলেই ভবিষ্যতের ক্যান্সারের লক্ষণ? যদি তাই হয়, তাহলে এটি সম্পর্কে কী করা উচিত? এই বিভ্রান্তি বোঝার জন্য, মেডিসিন কনসালট্যান্ট ও বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন।
লাল তিল কি আসলেই ক্যান্সারের লক্ষণ?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত যদি লাল তিল শুরু থেকেই থাকে, তবে তা ক্যান্সারের লক্ষণ নয়। তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে লাল তিল হোক বা কালো তিল, যদি এর আকার, রং, আকৃতি ইত্যাদি পরিবর্তন হয়, তবে তা ক্যান্সার হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে আপনার অবিলম্বে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। লাল তিলকে চিকিৎসার ভাষায় চেরি অ্যাঞ্জিওমা বলা হয়।
এটি ক্ষতিকারক নয়। সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর শরীরে লাল তিল দেখা দিতে শুরু করে। এগুলো সরাসরি ক্যান্সার বা লিভারের রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
কখন চিন্তা করবেন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটা স্পষ্ট যে যদি লাল তিল কোনো পরিবর্তন না দেখায়, তাহলে তা ক্যান্সার বা লিভারের রোগের লক্ষণ নয়। তবে যদি লাল তিল বা পূর্বে নির্ণয় না করা ত্বকের ফুসকুড়ি হঠাৎ করে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, আকারে অসম হয়ে যায়, রং পরিবর্তন করে, ব্যথা বা চুলকানির কারণ হয়, আঘাত ছাড়াই রক্তপাত হয়, অথবা অদ্ভুত প্রান্ত থাকে, তাহলে এটি মেলানোমার মতো ত্বকের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ত্বক বিশেষজ্ঞ বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
লাল তিল হওয়ার কারণ
লাল তিল হওয়ার অনেক কারণ আছে। হরমোনের পরিবর্তনই এর প্রধান কারণ। যখন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ওঠানামা করে, তখন লাল তিল দেখা দেয়। অ্যালার্জি বা ত্বকের সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি জন্মগত এবং জিন এর জন্য দায়ী।
ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে কী করবেন
সর্বদা আপনার ত্বকের যত্ন সহকারে পর্যবেক্ষণ করুন। বিদ্যমান দাগ, দাগ, ফুসকুড়ি, তিল ইত্যাদির কোনো পরিবর্তন আছে কি না, তা পরীক্ষা করুন। নতুন বা পরিবর্তিত তিলগুলোর দিকে নজর রাখুন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যদি আপনার কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।-সূত্র : নিউজ ১৮