বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গুজব অনেকটা কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জয়, পুতুল ও ববিসহ ৮ জনের নামে মামলার অনুমোদন পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮ জন ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু ঢাকা জেলার আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সসমূহ ২০২৬ সালের জন্য নবায়নের সময় নির্ধারণ ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি নিউজার্সির প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন শেরিল ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর হয়ে ইতিহাস গড়লেন অ্যাবিগেল

নড়াইলে আ. লীগ নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকের নামে মামলা

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:১১ অপরাহ্ন

নড়াইলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ৭২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় এক সাংবাদিকের নামও রয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, গতকালই (বৃহস্পতিবার) জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা মামলাটি আমলে নিয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলাটি করেছেন নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি ওই ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা।

মামলায় নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজামুদ্দিন খান নিলুকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ৩৮ নম্বরে নাম রয়েছে সময় টিভির নড়াইল প্রতিনিধি সৈয়দ সজিবুর রহমানের। মামলায় উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আসামি হলেন- নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সাংগঠনিক সম্পাদক দেবশীষ কুন্ডু মিটুল, জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি মাসুম, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীল, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েস প্রমুখ।

মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেছেন, স্বৈরচারী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গত ৪ আগস্ট সদর উপজেলার মাদরাসা বাজার থেকে একটি মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বাজারের পশ্চিম পাশে তেলের পাম্প এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের লোকজন বন্দুক, শটগান, বোমা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, সড়কি ও বাঁশের লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র সহকারে মিছিলের গতিরোধ করে। এ সময় ১নং আসামির নির্দেশে আরেক আসামি মাহমুদুল হাসান কায়েস মিছিলকারীদের গুলি করেন। এতে মামলার বাদীর ভাতিজা ১ নম্বর সাক্ষী মো. সোহান বিশ্বাসের গায়ে লেগে গুরুতর জখম হন। অন্য দুই আসামির ছোড়া গুলিতে আরও তিনজন মিছিলকারী জখম হন। অন্য কয়েকজন আসামি মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক সৈয়দ সজিবুর রহমান (সজিব)  বলেন, ঘটনার দিন সকাল থেকেই অন্যান্য মিডিয়ার সহকর্মীদের সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহে মাঠে ছিলাম। আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। তবে আদালতে বিএনপি নেতার করা মামলার আবেদনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এটা পেশাদারিত্বের ওপর নগ্ন আঘাত ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি আরও বলেন, বাদীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তিনি আমাকে চেনেন না। অথচ নাশকতা মামলায় আসামি দিয়ে রেখেছেন। নড়াইলের এক সাংবাদিকের পরামর্শে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। এর তীব্র নিন্দা জানাই।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর