শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ৫টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সংঘর্ষে গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা শ্রাবণ (৩২)। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলোয়ার হোসেন মিন্টুর ছেলে।
এর আগে, গতকাল রাতেই শহরের গৌরীপুর মহল্লার হাফেজ আজাহার আলির ছেলে ট্রলিচালক মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) পিটুনিতে মারা যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই দল কিশোরের মধ্যে চাঁদা তোলা নিয়ে শাপলা চত্বরে কথা-কাটাকাটি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকেই দুই মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রাতে দুই মহল্লার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এতে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গৌরীপুর মহল্লার ট্রলিচালক মিজানকে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় প্রতিপক্ষরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুটি দল তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও দুজন নিহতের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।