শীতে সর্দি-কাশির পাশাপাশি বাড়ে শীতকালীন অ্যালার্জির প্রকোপ। এ ছাড়া বাতাসে ধুলাবালি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের উপস্থিতিও বেড়ে যায়, ফলে অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা একসঙ্গেই দেখা দিতে পারে।
ঘন ঘন হাঁচি, গলা খুসখুস করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কানে অস্বস্তি, চোখে জ্বালা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া—এসবই শীতকালীন অ্যালার্জির লক্ষণ হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ও ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিলেও সতর্ক হওয়া জরুরি।
মৌসুম পরিবর্তনের এই সময়টায় কিছু সতর্কতা না মানলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে। শীতের শুরুতেই অ্যালার্জি সমস্যা ঠেকাতে কার্যকর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানুন আজকের প্রতিবেদনে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক
অ্যালার্জি ঠেকাতে যেসব নিয়ম মানা জরুরি
উলের পোশাক রোদে দিন : আলমারি থেকে বের করা সোয়েটার বা চাদর ব্যবহার করার আগে রোদে শুকিয়ে নিন।
অ্যালার্জি প্রবনদের জন্য এটি বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়।
ঘর খোলামেলা রাখুন : যতটা সম্ভব ঘরে রোদ ঢোকার ব্যবস্থা করুন। কার্পেট, পোষ্যের লোম এবং বন্ধ ঘরে জমে থাকা ধূলিকণা থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। তাই ঘর পরিষ্কার ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা জরুরি।
পোকামাকড়ের উপদ্রব দূর করুন : রান্নাঘর বা বাথরুমের পাইপে লিক থাকলে দ্রুত মেরামত করুন। পোকামাকড় বাড়লে অ্যালার্জি বাড়তে পারে, তাই নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখুন।
ধুলামুক্ত পরিবেশ বজায় রাখুন : বিছানার চাদর, বালিশের কভার নিয়মিত পরিবর্তন করুন। ঘরের প্রতিটি কোণ পরিষ্কার রাখুন, যাতে ধুলা জমতে না পারে।
মাস্ক ব্যবহার করুন : বাতাসে থাকা ধুলা ও অ্যালার্জেন থেকে রক্ষা পেতে বাইরে বের হলে মাস্ক হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর সুরক্ষা।