আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। যারা তা ছড়াচ্ছে তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এসব মন্তব্য করেছেন।
আজ শুক্রবার ( ৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোণা সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চায়, খুঁজে দেখেন তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর ছিলেন। কেউ হয়ত পূর্বাচলের প্লট পেয়েছেন, নয়তো তার কাছ থেকে কোনো মনিটরিং বেনিফিট পেয়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। চব্বিশের জুলাইয়ের পরও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, তা অস্বীকার করছি না। এটি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
সংস্কার ও সাংবাদিকতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস উপদেষ্টা মফস্বল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিকরা দিনরাত নিউজের পেছনে ছুটে প্রতিবেদন তৈরি করেন। দেশের প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেল আপনাদের সংগ্রহ করা ফুটেজ ব্যবহার করে।
সেগুলো সারাবছর ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে আয় করে। অথচ সাংবাদিকদের কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই, সম্মানিও দেয় না। শুধু আইডি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে বলে ‘যাও, করে খাও’। এ নিয়ে সাংবাদিকদেরই সোচ্চার হওয়া উচিত।
পরে সার্কিট হাউস চত্বরে আইটিএস নেত্রকোণার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ সময় নানা সংস্কারের দাবিতে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন শিক্ষার্থীরা। প্রেস সচিব স্মারকলিপি সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।
মতবিনিময় শেষে শহরের মোক্তারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন জুলাই স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শফিকুল আলম।