লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা,ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বিএনপির একটি অংশই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে তিনি হাতে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় মাহফুজ আলমের রামগঞ্জের নিজ গ্রাম নারায়ণপুর মোল্লা বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, বাচ্চু মোল্লা ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বিকেলে নিষিদ্ধ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জু উপজেলার ইছাপুর ইউপির নারায়ানপুর এলাকায় মা এর সাথে দেখা করতে নিজ বাড়িতে আসেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক ছিল। সন্ধ্যার পর মেহেদী হাসান মঞ্জুকে এলাকায় দেখতে পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাগর হোসেন শুক্কুর ও দলের কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করার চেষ্টা চালায়।
এদিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বড় ভাই মাহবুব আলম গণমাধ্যমে বলেছেন, মেহেদী হাসান মঞ্জু আজ এলাকায় আসলে বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপ যায় তাকে ধরতে। এক পর্যায়ে কে আগে ধরবে- সেটাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-ম্বেচ্ছাসবেক দলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গ্রামবাসীও এতে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমার আব্বু (বাচ্চু মোল্লা) এই ত্রিমুখী সংঘর্ষ থামাতে গেলে তার ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তাকে রক্তাক্ত করা হয়।’পরে তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ।
এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন। এরপর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, অভিযুক্ত সাগর হোসেন শুক্কুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের ছাড় দেয়া হবে না। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।