রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ১৮ বছর পর প্রথমবার আইপিএল শিরোপা জয়ের পর বেঙ্গালুরুতে জয়োৎসবে যেন বিষাদে রুপ নিয়েছে। দুই জায়গায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
আজ বুধবার (৪ জুন) কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) আয়োজিত দলটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমের আইপিএলে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতেছে কর্ণাটকভিত্তিক দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। এ বিজয় উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ বুধবার বিকেল ৫ টায় বেঙ্গালুরু শহরের বিধান সৌধ এলাকা থেকে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত ভিক্টরি প্যারেড বা বিজয় মিছিল হওয়ার কথা ছিল।
পরে সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজয় মিছিলের পরিবর্তে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মাঠেই আরসিবিকে সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করে কর্ণাটক রাজ্য সরকারের ক্রিকেট সংস্থা কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)। বিকেল ৫ টার মধ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারমাইয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়ার কথা ছিল আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ দলের অন্যান্য সদস্যদের।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের খবর প্রচারিত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকেই এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের চারপাশের এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান দেখতে কয়েক লক্ষ মানুষ চলে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশ কর্মীর সংখ্যা ছিল অনেক কম। ফলে ভিড় সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয় তাঁদের। এর পর স্টেডিয়ামের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য মানুষ দ্রুত ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। বিপত্তির শুরু সেখান থেকেই।
তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।
তিনি বলেন, ভিড় “অনিয়ন্ত্রণহীন” ছিল। “অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা ৫,০০০ এরও বেশি কর্মীর ব্যবস্থা করেছি। এটি একটি তরুণ প্রাণবন্ত জনতা, আমরা তাদের উপর লাঠি ব্যবহার করতে পারি না।