বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি সেন্টার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তিনি জানান, আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের বয়স ১৭ থেকে ২৮ বছর। এ শিক্ষার্থীরা এইচএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করছেন। তবে তারা সবাই বরিশালের বাসিন্দা নন; অনেকেই অন্য জেলা থেকে বরিশালে অবস্থান করছেন। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই সমকামী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, এক বাসায় কিংবা এক কক্ষে ৫–৭ জন থাকে। তারা কোন বাসায় থাকে, কারা থাকে সেটা নজরদারি করতে হবে। সন্তান কোথায় থাকে, তার বন্ধু কারা এবং কী করে এসব বিষয় অভিভাবকদের ফলোআপে রাখতে হবে।
এইডস প্রতিরোধে গত ১ অক্টোবর থেকে আরও কঠোর হয়েছেন বলে জানান এআরটি কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, যে আসবে এবং রিপোর্ট পজিটিভ হবে, তাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছি। এক সেকেন্ডের জন্যও তাদের না জানিয়ে কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
জসিম উদ্দিন বলেন, আক্রান্তরা যাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করেছেন, তাদের অনেকেই এখনো পরীক্ষার জন্য আসেননি। ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুশিউল মুনীর বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কঠোর হতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাবে।-বাংলানিউজ