বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকায় কানাডা ক্লাবে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের (এমএফসি) সঙ্গে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠানে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
হাইকমিশনার বলেন, গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিকল্প নেই। জবাবদিহিতা এবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবাধ ও স্বাধীন সাংবাদিকতা অপরিহার্য।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। সমাজকে উন্মুক্ত, সচেতন এবং জবাবদিহিতামূলক রাখার জন্য সাংবাদিকতা অপরিহার্য। কানাডা মুক্ত, নিরাপদ এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে। সাংবাদিকতা গণতান্ত্রিক সমাজকে শক্তিশালী করে এবং জনসাধারণের জবাবদিহিতা রক্ষা করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা ভোটারদের স্বচ্ছতা এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে জার্মান চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আনজা কেরেস্টেন ও সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, দেশে ও দেশের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের অংশীদারিত্বমূলক সংগঠন মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন। এটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছয় মহাদেশের ৫০টিরও বেশি দেশ এর সদস্য। এমএসএফ এর সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
সংগঠনটি সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করে। আলোচনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, আইনি কাঠামোর সংস্কারে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে কাজ করে এমএফসি।