কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস (সাধারণ সম্পাদক) নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সে সময় যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভর্তি না হওয়ায় এমফিল প্রোগ্রামে তার ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বরর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গোলাম রাব্বানীর এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া যথাযথ অনুসরণ হয়নি বলে এমন একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সাময়িকভাবে তার এমফিল প্রোগ্রামের ভর্তির বাতিল করে।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সেই বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
এদিকে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের সময় এই এমফিল প্রোগ্রামের ভর্তি উল্লেখ করেই গোলাম রাব্বানী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বৈধ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা বৈধ ছিল না। তাই তদন্ত কমিটি গোলাম রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার জন্য জোর সুপারিশ করে।
আজকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গোলাম রাব্বানীর জিএস পদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, একাডেমি কাউন্সিল এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। একাডেমিক কাউন্সিল শুধু একাডেমিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তবে যেহেতু তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে, তাই জিএস পদ অবৈধ ঘোষণার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।