শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড লটারি স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন দিনাজপুর জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মিতা গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টায় হাদি হত্যার অগ্রগতি না জানালে আবারও শাহবাগ অবরোধঃ ইনকিলাব মঞ্চ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড একটি ভয়াবহ ঘটনা: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি ময়মনসিংহে হিন্দু যুবক হত্যার ঘটনায় আরও ৩ জনসহ গ্রেপ্তার ১০ এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার মারা গেছেন বাংলাদেশি ৬ শান্তিরক্ষীর মরদেহ পৌঁছেছে, জানাজা কাল

মুক্তি পেলেন বিডিআরের সাবেক ৩৫ সদস্য

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিডিআরের সাবেক ৩৫ জন সদস্য মুক্তি পেয়েছেন।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তারা পর্যায়ক্রমে কারাগার থেকে বের হন।

মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১ জন, কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ২ জন এবং পার্ট-২ থেকে ৩২ জন রয়েছেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার আদালত ৫৩ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের কাগজপত্র আজ দুপুরে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, দুপুরে বন্দি ১ জন সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাকে সন্ধ্যায় মুক্তি দেয়া হয়।

সিনিয়র জেল সুপার আবু নূর মো. রেজা বলেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ২ জন সাবেক বিডিআর সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সিনিয়র জেল সুপার মো. আল মামুন বলেছেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে ৩২ জন সাবেক বিডিআর সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে বন্দি ৩২ জন সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহের ঘটনায় পরদিন ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়। হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে বিবেচিত। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। খালাস পান ২৭৮ জন।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর