সাংঘর্ষিক ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি পরিহার করে সহনশীলতার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ রোববার ( ২৬ অক্টোবর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ১৪ মাস অতিক্রম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসেনি এবং কাঙ্ক্ষিত নির্বাচিত সংসদ সরকারও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ জন্যই জনগণের মালিকানা এবং সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা কঠিন আন্দোলনে সবাই একসঙ্গে ছিলেন। এই সংগ্রামের ফলস্বরূপ যে রাজনৈতিক অর্জন, অর্থাৎ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, তা নিশ্চিত করতে এখন বাকি কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এখন রাস্তা বা সংঘাতের রাজনীতি নয়, বরং জনগণের কাছে যেতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারব না, আমরা হিংসা করার রাজনীতির দিকে যেতে পারব না। বিগত দিনের প্রতিহিংসামূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে ফিরে এসে আগামী বাংলাদেশের জন্য সহনশীলতা, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং ভিন্নমত পোষণ করেও তাকে সম্মান জানানোর সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ঐক্যের মাধ্যমে অংশ নিতে হবে। বিভিন্ন দলের নিজস্ব দর্শন বা চিন্তাভাবনা থাকা স্বাভাবিক, এতে বিভেদ হচ্ছে না। যার যার অবস্থানে থেকে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে গিয়েই পরিবর্তন আনতে হবে এবং বিভিন্ন সংস্কারের বিষয়গুলো জনসমক্ষে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া, একটি পরিশ্রুতকরণ প্রক্রিয়া। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত না করে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সেই ম্যান্ডেটের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে, রাস্তায় সাংঘর্ষিক অবস্থার মাধ্যমে নয়। কারণ সংঘাতের মাধ্যমে সমাধান করতে গেলে আবার সেই পুরোনো জমানায় ফিরে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান জানাচ্ছি।