নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে এবং তাদের ক্ষমতা বাড়াতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ আইন সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এই আইন পাসের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য একটি শক্তিশালী সচিবালয় পাবে। এতে নির্বাচন কমিশনের কাজে আরও গতিশীলতা আনতে এবং তাদের স্বতন্ত্র ক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়ক হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত পরিষদের ৪৩তম বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের প্রস্তাবিত এই আইন দুটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। এই দুটি আইন সংশোধনের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করা।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার এই আইন দুটি সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে তাদের দায়িত্ব আরও দক্ষতার সাথে পালনের সুযোগ দেবে।