গ্রাহকের আমানত আত্মসাতের অভিযোগে আহমেদীয়া ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিম মৌজায় অবস্থিত ‘ইউরো স্টার টাওয়ার’ নামক দশতলা বাণিজ্যিক ভবনটি ক্রোক করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ (৫৩) ২০০৫ সালে আহমেদীয়া বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে নিবন্ধন নেন। ২০০৬ সালে নাম পরিবর্তন করে আহমেদীয়া ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে পুনঃনিবন্ধন করেন। সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে গঠিত সমিতি নিয়ম ভেঙে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় এক হাজারের বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে মনির আহমেদ নিজের নামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন। এ ঘটনায় আহমেদীয়া ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদসহ অন্যান্য সহযোগী আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
তদন্ত চলাকালে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ইব্রাহিম মৌজায় ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ইউরো স্টার টাওয়ার নামক বাণিজ্যিক ভবনের সন্ধান পায়। সিআইডি আদালতের আদেশে ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই তা ক্রোক করে।
গ্রাহকের আমানতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মানিলন্ডারিং মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।