ফরিদপুরে ১৩ বছর বয়সী এক মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে নুরুদ্দিন মোল্যা (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, যা আসামি জমিজমা বিক্রি করে ওই কিশোরীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলা সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী সম্পর্কে চাচা। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ওই সময়ে স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করে এবং অসুস্থ্য অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। পরের দিন কোতয়ালী থানায় মামলাটি করেন কিশোরীর বাবা।
এ মামলার সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূইয়া রতন বলেন, একটি পরিবারের প্রতিবন্ধী কিশোরীর সাথে তাঁর বয়স্ক চাচা যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে যা সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ, যার সর্বোচ্চ শাস্তিই আমরা কামনা করেছিলাম। যাতে একজন কিশোরী বা তরুণী তাঁর পরিবার বা প্রতিবেশীর কাছে নিরাপদে থাকে, সমাজে এমন ঘটনা যেন না ঘটে। এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।