কুমিল্লার মুরাদনগরে দেশব্যাপী আলোচিত ধর্ষণকাণ্ডে আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আটক চারজনকে পর্ণোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় তাদেরকে কুমিল্লা জেলা জজ আদালতে হাজির করা হলে ১১নং জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মুমিনুল হক চারজনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে চার আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- কুমিল্লার মুরাগনগর উপজেলার পাচকিত্তা বাহেরচ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান আলী, আলম মিয়ার ছেলে মো. আরিফ ও তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক।
রোববার কুমিল্লা জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগরে একটি গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামে এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হয়। পরে ফজর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এর আগে শনিবার ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামি ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে শুক্রবার মামলা করেছেন এক হিন্দু নারী। বাদির মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীর আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করি। এরপর অভিযান চালিয়ে চার জনকে আমরা আটক করে নিয়ে আসি।