বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গুজব অনেকটা কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জয়, পুতুল ও ববিসহ ৮ জনের নামে মামলার অনুমোদন পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮ জন ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু ঢাকা জেলার আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সসমূহ ২০২৬ সালের জন্য নবায়নের সময় নির্ধারণ ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি নিউজার্সির প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন শেরিল ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর হয়ে ইতিহাস গড়লেন অ্যাবিগেল

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যায় গ্রেপ্তার হওয়া তামিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ১:১৫ পূর্বাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া  তামিম হাওলাদারের (৩০) মাদারীপুরের বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধরা। এসময় দুটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত তামিম হাওলাদার সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো দুইজন হলো- মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের যতন্দ্রীনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক(২৮)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্য হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনই এলাকায় বিভিন্ন সময় নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরপরই তামিম ও পলাশ গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। কারণ তারা ছিলেন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের অনুসারী। আওয়ামীপন্থী নেতাকর্মীদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া সম্রাট মাদকাসক্ত বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল খাঁ ও রুবেল খাঁ’র লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করতো গ্রেপ্তার তামিম ও পলাশ। আওয়ামীলীগের দলীয় কোন পদ-পদবী ছিলোনা তাদের। কিন্তু তারা আওয়ামীলীগের ছত্র-ছায়ায়ই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে সাথে জড়িত ছিল। ৫ আগষ্টে সরকার পরিবর্তনের পর তামিম ও পলাশ ঢাকায় চলে যায়। এরপর আর বাড়িতে আসেনি। পলাশের বাবা কালাম সরদার এক সময় পালকী বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতো। অন্যদিকে তামিমের বাবা এলাকায় জমি বেঁচা-কেনার সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গ্রেপ্তার সম্রাট মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বেশ কিছুদিন আগে মসজিদের মাইক লাগানো নিয়ে এলাকায় ছাত্রদের মারধর করে। এ নিয়ে ডাসার থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে।

ডাসার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে ডাসার ও ডিএমপির রুপনগরসহ বিভিন্ন থানায় ৩ মাদক মামলা রয়েছে। তার বিষয় আমরা বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বাড়িই মাদারীপুর জেলায়। এদের মধ্যে তামিম হাওলাদার ও পলাশ সরদারের বাড়ি সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে। অপরজনের বাড়ি ডাসার উপজেলার শশিকরে। এই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় তামিম হাওলাদারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধরা অগ্নিসংযোগ করার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্য দুইজনের বাড়িতে এখনো কেউ অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুর করেছে বলে কোন খবর পাইনি। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গতরাতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর