রংপুরের বদরগঞ্জে একটি দোকান ঘরকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে লাভলু মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।নিহত লাভলু মিয়া রাজরামপুর গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটা ব্যবসায়ী ছিলেন।
শনিবার(৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আশেপাশের বেশকিছু দোকানপাট ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এ নিয়ে সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ পৌরশহরের নিজ বাসভবন সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির জেলা সদস্য ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজ বদরগঞ্জ পৌরশহরে কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক ও তার ছেলে তানভীর আহমেদ তমাল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনুসারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। যাতে আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী লাবলু মিয়াকে প্রকাশ্যে হত্যা করে। প্রশাসন নীরব ভূমিকা প্রকাশ করায় হতাশা প্রকাশ করেন এই নেতা। তিনি চেয়ারম্যান মানিক ও তার ছেলেসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।
এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আবু সায়েম জানান, শুনেছি গতকাল থেকে দুই পক্ষ নেগোসিয়েশনের চেষ্টা করছে। কেউ কারো কথা না শোনে আজকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তবে অপরাধী যারাই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।