এর আগে বিকেল ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে ইউএনওর অপসারণ দাবিতে উপজেলার শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। মানববন্ধন শেষে তারা ইউএনওর অফিসে যান।
জাতীয় নাগরিক কমিটির চিরিরবন্দর উপজেলা সদস্য সোহেল সাজ্জাদ বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় একক স্বেচ্ছাচারিতার রাজত্ব কায়েম করেছেন। সরকারি যে কোনো কাজ করতে গেলে তাকে আলাদা ভাগ দেওয়া লাগে। এক কথায় উনি টাকা ছাড়া কোনো ফাইল ছাড়েন না। আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রশাসনের সহযোগিতায় অফিস ত্যাগ করেন ফাতেমা খাতুন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, এখানে অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম নামে একজন কিছু ভুয়া কথা জাহির করে কিছু মানুষকে উত্তেজিত করছেন। নাগরিক কমিটির ব্যানারে তিনি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আজকে তাদের সাথে তেমন কোনো ছাত্র সমাজ ছিল না, দুই-চারজন ছাত্র ছিল। আমি তাদের ওপর কোন বল প্রয়োগ করিনি। বর্তমান আমি আমার বাংলোতে আছি। পুলিশ টহলে রয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।