শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর জাহানারা ইস্যুতে সরব মাশরাফি ক্রিকেটার জাহানারার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি মনজুরুলের জাপানের ১ কোটি শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ ৭৫-এর পরেই রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয়ের সূচনা হয়: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জকসু নির্বাচনের খসড়া তালিকায় ভোটার ১৬ হাজার ৭২৫ জন যারা নির্বাচনের আগে গণভোটের চাপ দিচ্ছে, তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে : মির্জা ফখরুল দক্ষ জনশক্তি দেশ গঠনের মূল ভিত্তি: প্রধান উপদেষ্টা সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, দেশবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা স্বৈরাচারের দোসর : প্রেস সচিব শফিকুল আলম

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৫,৩২০ কোটি মার্কিন ডলার

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ২:০৭ অপরাহ্ন

প্রায় পনেরো মাসের ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজন হবে ৫ হাজার কোটিরও বেশি মার্কিন ডলার। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

বিশ্ব ব্যাংক, জাতিসংঘ ও ইইউ পরিচালিত ‘দ্য গাজা অ্যান্ড ওয়েস্ট ব্যাংক ইন্টেরিম র‌্যাপিড ড্যামেজ অ্যান্ড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ (আইআরডিএনএ) গতকাল মঙ্গলবার খরচের এই হিসেব দিয়েছে।

তাদের হিসেব মতে, গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গবেষকরা হিসাব-নিকাশ করে বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনে এখন আগামী ১০ বছরে ৫ হাজার ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এরমধ্যে কেবল প্রথম তিন বছরেই দরকার হতে পারে প্রায় দু’হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল খরচ জোগাতে বেশকিছু দাতা ও অন্যান্য আর্থিক উৎস ও বেসরকারি খাতের সম্পদ থেকে তহবিল দরকার হবে। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গাজায় নির্মাণের জিনিসপত্র সরবরাহ ব্যবস্থাও উন্নত হতে হবে।

আইআরডিএনএ বলেছে,গাজায় ধ্বংস হয়েছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৯২,০০০’রও বেশি ঘরবাড়ি। ৯৫ শতাংশ হাসপাতালই হয়ে পড়েছে অকার্যকর। স্থানীয় অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৮৩ শতাংশ।

গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় মোট তহবিলের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ, ২ হাজার ৯৯০ কোটি ডলার খরচ হবে ধসে যাওয়া ঘরবাড়ি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে। আর গাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়া আবাসিক হাউজিংগুলো নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে ১ হাজার ৫২০ কোটি ডলার। এছাড়া, ১ হাজার ৯১০ কোটি ডলার খরচ হবে গাজার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে। যার মধ্যে আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও ধসে পড়া শিল্প খাত।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের আবাসিক এবং মানবিক সমন্বয়কারী মুহান্নাদ হাদি বলেছেন, ‘সামনে বিপুল পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ফিলিস্তিনিদের যৌথ পদক্ষেপের প্রয়োজন হবে। একটি টেকসই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া গাজার দুই মিলিয়ন মানুষের আশা, মর্যাদা এবং জীবিকা পুনরুদ্ধার করতে হবে।’


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর