শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ড লটারি স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন দিনাজপুর জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মিতা গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টায় হাদি হত্যার অগ্রগতি না জানালে আবারও শাহবাগ অবরোধঃ ইনকিলাব মঞ্চ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড একটি ভয়াবহ ঘটনা: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি ময়মনসিংহে হিন্দু যুবক হত্যার ঘটনায় আরও ৩ জনসহ গ্রেপ্তার ১০ এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার মারা গেছেন বাংলাদেশি ৬ শান্তিরক্ষীর মরদেহ পৌঁছেছে, জানাজা কাল

মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার মারা গেছেন

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:০৫ অপরাহ্ন

মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, বীর উত্তম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ শনিবার ( ২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। দুপুরে এক বার্তায় তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

এ কে খন্দকারের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি। পিতার তৎকালীন কর্মস্থল ছিল রংপুর শহরে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ভারেঙ্গা গ্রামে। তাঁর পিতা খন্দকার আব্দুল লতিফ ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মাতা আরেফা খাতুন ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিণী। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে এ কে খন্দকার ছিলেন তৃতীয়।

পিতার চাকরির সুবাদে তাঁর শিক্ষাজীবনের শুরু বগুড়া শহরে। সেখানে তিনি কিছুদিন বগুড়া করোনেশন স্কুলে পড়াশোনা করেন। ভারত বিভক্তির বছরে, ১৯৪৭ সালে তিনি মালদা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) থেকে পাইলট অফিসার পদে কমিশন লাভ করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি ফাইটার পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান এয়ার ফোর্স একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে এবং পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ একাডেমিতে স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে স্কোয়াড্রন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ একাডেমির ট্রেনিং উইংয়ের অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই বছর ঢাকায় অবস্থিত পিএএফ বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে নিয়োগ পান।

উইং কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এ কে খন্দকার মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন এবং মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২১ নভেম্বর ১৯৭১ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ব্যক্তিগত উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তাঁর অবদান জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর