সারাদেশে মাছ ধরার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে নৌবাহিনীর অভিযানে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ঘোষিত ৫৮ দিনের ‘মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম’ শেষ হয়েছে ১১ জুন। গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। বাংলাদেশের জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে ‘মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম’ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করে নৌবাহিনী। দেশের সমুদ্রসীমার অভ্যন্তরে ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধির নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশি-বিদেশি অবৈধ মৎস্য শিকারিদের অনুপ্রবেশ বন্ধে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনী এ সময় বিশেষ অভিযান চালায়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চারটি যুদ্ধ জাহাজ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোট বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় অঞ্চলে সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত ছিল। এছাড়া নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফটের মাধ্যমে প্রতি দিন বঙ্গোপসাগরে বেআইনি মৎস্য শিকার প্রতিহত করতে নরজদারি করে নৌবাহিনী।
এসময় নৌবাহিনী ২৭৫টি অভিযান চালিয়ে ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ১১০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২ হাজার ৭৪৪টি বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল, ৫০৫ জন জেলেসহ ৫৭টি বোট এবং ১৬ হাজার ৩২৮ কেজি মাছ জব্দ করতে সক্ষম হয়। জব্দ করা সরঞ্জামাদি ও মাছের আনুমানিক বাজার মূল্য ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আটক এসব অবৈধ জাল স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। জব্দ করা মাছ স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।