রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনের নিচের সড়ক অবরোধ করছে আন্দোলনরত মোবাইল ব্যবসায়ীরা। এতে সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পর সড়কটি অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা।
মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শামীম মোল্লা বলেছেন, বিটিআরসি ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে বিটিআরসি ভবনে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসছেন। তবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা না হলে আলোচনায় সমাধান হবে না।
এর আগে, রোববার সকাল থেকে আমদানি শুল্ক কমানোসহ ৬ দফা দাবিতে বিটিআরসি ভবনের সামনে অবস্থান নেয় মোবাইল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। এ সময় ভবনটির চারপাশ ঘিরে রাখে পুলিশ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখো ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হবে। বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়েও মোবাইল সেটের দাম বেড়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশের মোবাইল দোকান বন্ধের ঘোষণা দেয় মোবাইল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘মোবাইল বিজনেস কমিনিউটি বাংলাদেশ।
তাদের দাবিগুলো হলো, স্মার্টফোন আমদানির অনুমতির একটি শর্ত হিসেবে মোবাইল আমদানিকারকদের সঙ্গে স্থানীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদেরসঙ্গে বাধ্যতামূলক চুক্তির নিয়ম বাতিল করা। বৈষম্যমূলক বাজার নিয়ন্ত্রণ দূর করতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বিভিন্ন মোবাইল ব্যবসায়ীর জন্য আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ করা। বেসরকারি এবং স্থানীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের অর্থায়ন বাতিল করে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এনইআইআর বাস্তবায়ন করা।
সারা দেশে ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা অবিক্রীত মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য শর্ত আরোপ না করা বা ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত সময় দেয়া। এনইআইআর বাস্তবায়নের আগে গ্রাহক এবং বিক্রেতা পর্যায়ে কার্যকরের প্রক্রিয়ার ধারণা দেয়ার জন্য ডেমো বা টিউটোরিয়াল ভিডিও প্রকাশ করা এবং কমপক্ষে ছয় মাস পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো। বিটিআরসির ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট প্রক্রিয়াটি সহজ ও দ্রুত সময়ে কার্যকর নিশ্চিত করা।-যমুনা