সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ৭ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) তাকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানি শেষ হয়। পরে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের (২৭ মে) দিন ধার্য করেন। ওইদিন তার আইনজীবী শুনানিতে বলেন, ‘হাসিনাপুত্র জয়কে কথিত অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা এটি। ভিকটিম নিজে মামলা দায়ের করেনি। পুলিশ অতিরিক্ত ইন্টারেস্ট দেখিয়ে মামলা দায়ের করে। শফিক রেহমান ৯০ বছর বয়সী লোক। তাকে এ মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নাই। মামলায় ১২ জন সাক্ষী দিয়েছে। জয়ও এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছে। যেদিন জয় এ মামলায় সাক্ষ্য দেয় সেদিন সাক্ষ্য শেষে বিচারক তার পিছে পিছে দৌড়াচ্ছেন এমন চিত্র দেখা যায়। তাহলে দেখেন কেমন বিচার হয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (খলিল) আদালতকে বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। তিনি একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। খালাস দিলে আমাদের আপত্তি নেই।’
খালাসের পর প্রধান বিচারপতি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ জুলাই আন্দোলনের বিপ্লবীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেন, খালাসের মাধ্যমে বিচার বিভাগ স্বাধীন তা প্রমাণিত হয়েছে।
এসময় তার আইনজীবীরা বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। মামলায় যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান আইনজীবীরা।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।