রাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রোববার ভোরে মিরপুর-১১ এর ৫ নম্বর অ্যাভিনিউ, সি ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন—রং মিস্ত্রি আব্দুল খলিল (৪০), তাঁর স্ত্রী গৃহিণী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদ্রাসাছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)।
পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)। তারা দুজনই গার্মেন্টস কর্মী।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, খলিলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ, আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ, মোহাম্মদের ৩৫ শতাংশ, রুমার ২০ শতাংশ, আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ, ইসমাইলের ২০ শতাংশ, স্বপ্নার ১৪ শতাংশ ও শাহজাহান ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থায়ই গুরুতর।
দগ্ধ আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাংলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচি মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন ওই দম্পতি। ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ শাহজাহান জানান, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। তখন নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।
তিনি আরও জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুই দিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান।
তার ধারণা, ওই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।