বাগেরহাটের সদর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলায় সাবেক স্কুলশিক্ষক মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জি (৬৫) নিহত হয়েছেন। ৫ আগস্ট দিবাগত রাতে সদর উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের ছোট পাইকপাড়া গ্রামে হামলা করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী ও মেয়ে আহত হয়েছে।
নিহত মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জি (৬৫) ছোট পাইকপাড়া গ্রামের প্রয়াত কেশব লাল চ্যাটার্জির ছেলে। তিনি পাশের মধুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আহত হয়ে তাঁর স্ত্রী শেফালি চ্যাটার্জি (৬০) ও মেয়ে ঝুমা রাণী চ্যাটার্জি (৩৫) বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেফালি চ্যাটার্জি বলেন, ‘ঘর দরজা সব ভাঙছে, সব কিছু নিয়ে গেছে। কিচ্ছুই নেই। সন্ধ্যার দিকে একদল এসে বাড়ি ঢিলা মারছে। তখনও বুঝিনি, রাত্তিরি (রাতে) আইসে এই ভাবে মাইরা ফ্যালবো।’
আর্তনাদ করতে করতে তিনি বলেন, ‘এট্টু জায়গা আছে, ওই জায়গা জমিই কাল হইছে। এট্টু সম্পদের জন্নি তো, তোরা সব নিয়ে যাতি, মাইরে ফেললি কেন? সব ভাঙে ফেললি।’
পাশের সিটে থাকা তাঁর আহত মেয়ে ঝুমা রাণী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ঘরে আমার ছোট ছেলে ও বোন ছিল। তাদের ঘরের পাটাতনের উপর ও খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে বাঁচাইছি। আমাগো কী দোষ। আমরা তো কোনো দল করি না। শুধু শুধু আমাগো উপর কেন হামলা করল। আমার বৃদ্ধ বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটায় এং কোপায়ে মেরে ফেলল।’