বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গুজব অনেকটা কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জয়, পুতুল ও ববিসহ ৮ জনের নামে মামলার অনুমোদন পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮ জন ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু ঢাকা জেলার আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সসমূহ ২০২৬ সালের জন্য নবায়নের সময় নির্ধারণ ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি নিউজার্সির প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন শেরিল ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর হয়ে ইতিহাস গড়লেন অ্যাবিগেল

ঝিনাইদহের পূজামণ্ডপে গীতা পাঠ করে ভাইরাল জামায়াত নেতা

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:১৫ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে  পূজামণ্ডপে ইসলামি গান গাওয়া নিয়ে সারাদেশ আলোড়িত হওয়ার পর এবার পূজামণ্ডপে গীতা পাঠ করে ভাইরাল হয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য তিনি।  

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বাজেবামনদাহ হরিতলা পালপাড়া পূজামণ্ডপে গীতা পাঠ করেন এ জামায়াত নেতা।

তার সেই গীতা পাঠের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সপ্তমিতে রাত ১০টার দিকে বাজেবামনদাহ হরিতলা পালপাড়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা। অন্যান্যদের বক্তব্যের পর প্রধান অতিথি অধ্যাপক মতিয়ার রহমান তার বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যে ইসলাম ও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি গীতা পাঠ করেন। সেসময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা উলুধ্বনি দেন ও শঙ্খ বাজান। গীতা পাঠ শেষে  আগামীতে নির্বাচিত হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন অধ্যাপক মতিউর।

বাজেবামনদাহ হরিতলা পালপাড়া পূজামণ্ডপের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি গুরুদাস বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর জামায়াতের মতিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন মণ্ডপে এসেছিলেন। বক্তব্যে তিনি আমাদের ধর্ম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান দেন। পরে গীতা থেকে একটি শ্লোক পাঠ করেন।

এ ব্যাপারে কথা বলতে অধ্যাপক মতিয়ার রহমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ‘ইসলামী সংগীত’ গাওয়ার ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা চললেও অধ্যাপক মতিয়ার রহমানের গীতা পাঠ অনেকের কাছেই প্রশংসিত হয়েছে।

বিষয়টিকে ধর্মীয় সহনশীলতার এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করেছেন কেউ কেউ। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির চেতনাকে আরও দৃঢ় করবে।

তবে বিপরীত চিত্রও রয়েছে। ঘটনাটি অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতর্কিত হয়েছে এবং তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করে বিষয়টি ‘বাড়াবাড়ি’ আখ্যা দিয়েছেন।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর