শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর জাহানারা ইস্যুতে সরব মাশরাফি ক্রিকেটার জাহানারার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি মনজুরুলের জাপানের ১ কোটি শ্রম ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ ৭৫-এর পরেই রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয়ের সূচনা হয়: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জকসু নির্বাচনের খসড়া তালিকায় ভোটার ১৬ হাজার ৭২৫ জন যারা নির্বাচনের আগে গণভোটের চাপ দিচ্ছে, তারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে : মির্জা ফখরুল দক্ষ জনশক্তি দেশ গঠনের মূল ভিত্তি: প্রধান উপদেষ্টা সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, দেশবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা স্বৈরাচারের দোসর : প্রেস সচিব শফিকুল আলম

জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১,৪০০ জন- ওএইচসিএইচআর

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

২০২৪ এর জুলাই-অগাস্ট মাসের অভ্যুত্থানে প্রায় এক হাজার ৪০০ জন মানুষ নিহত হয়েছে বলে উঠে এসেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে ওএইচসিএইচআর এ তদন্ত পরিচালনা করে।

তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে।

সেসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিল বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “তৎকালীন সরকার এবং তার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা, আওয়ামী লীগ, এর সহিংস গোষ্ঠী ও সংগঠনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিল। যার মধ্যে রয়েছে কয়েকশ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গুরুতরভাবে শারীরিক নিপীড়ন ও বলপ্রয়োগ, ব্যাপক হারে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতনসহ অন্যান্য ধরনের নিপীড়ন।”

“ওএইচসিএইচআর যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটেছিল।”

প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে: “ওএইচসিএইচআরের অনুমান, বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মিলিটারি রাইফেল এবং প্রাণঘাতি মেটাল প্যালেটস লোড করা শটগানে নিহত হয়েছেন। এই ধরনের শটগান সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন, কেউ কেউ স্থায়ীভাবে আজীবনের জন্য কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন।”

এতে আরও বলা হয়, সেসময় ১১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার এবং আটক করা হয়েছিল। আন্দোলনে নিহতদের মধ্যে প্রায় ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করেছে, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অমানবিকভাবে আটক-নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিপীড়ন করেছে।

“বিশেষ করে, শুরুর দিকে বিক্ষোভের সম্মুখসারিতে থাকা নারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মারাত্মকভাবে আক্রমণ করেছে। নারীরা যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ছিল লিঙ্গ-ভিত্তিক শারীরিক সহিংসতা ও ধর্ষণের হুমকি। কয়েকটি ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।”


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর