সড়ক দুর্ঘটনায় দিয়েগো জোতার মৃত্যুর পরপরই তার ২০ নম্বর জার্সিকে ‘অমর’ করে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল লিভারপুল। সেই ঘোষণায় জোতার জার্সিকে অবসরে পাঠানোর বিষয়টি স্পষ্ট না করলেও অনেক ভক্ত–সমর্থক তেমনটিই ধরে নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই অনুমানই সত্য হলো। চিরতরে থেমে গেল দিয়োগো জোতার লাল জার্সির ছুটে চলা। লিভারপুল তারকার মর্মান্তিক বিদায়ের পর শুধু শোকেই থেমে থাকেনি সমর্থকরা—তারা চেয়েছিল ‘২০ নম্বর’ যেন আর কেউ না পরে। তার মর্মান্তিক প্রস্থান যেন কাঁদিয়েছে পুরো ক্লাবকে। ভক্তদের বুকভরা অনুরোধে এবার ইতিহাস গড়ল অল রেডরা—প্রথমবারের মতো চিরতরে অবসর দেওয়া হলো এক নম্বরকে, জোতার ‘২০’ জার্সিকে।
২০ নম্বর জার্সি অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি শুধু পুরুষ দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না—প্রযোজ্য হবে লিভারপুলের নারী দল ও অ্যাকাডেমির প্রতিটি স্তরেও। ক্লাব জানিয়েছে, দিয়োগো জোতার স্ত্রী রুটে এবং তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ করেই এই আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

লিভারপুলের মালিকানাধীন ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপের সিইও মাইকেল এডওয়ার্ডস বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত শুধুই ফুটবলীয় অবদানের জন্য নয়, বরং একজন অনন্য মানুষ হিসেবে দিয়োগো আমাদের হৃদয়ে যা রেখে গেছেন তার প্রতিফলন। তার পরিবারকে আমরা প্রথমেই জানিয়ে নিয়েছিলাম। তিনি আমাদের ২০তম লিগ শিরোপা এনে দিয়েছেন, তিনি ২০ নম্বর জার্সি পরেছেন, আর আজ থেকে লিভারপুলের কাছে ২০ মানেই দিয়োগো জোতা—চিরদিনের জন্য।’
সাবেক এই পর্তুগিজ তারকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অ্যানফিল্ডে জমেছে ভালোবাসার পাহাড়—শার্ট, স্কার্ফ, ফুল, পতাকা, প্লেস্টেশন কন্ট্রোলার, ব্যানারসহ সবকিছু দিয়ে বানানো হয়েছে স্মৃতির এক আবেগঘন আবরণ। সেখানে একটি শার্টে লেখা, ‘সে ২০২০ সালে, ২০ নম্বর জার্সি পড়ে চুক্তি করেছিল, আর আমাদের এনে দিয়েছিল ২০তম শিরোপা। চিরকাল জোতা একজন রেড।’ লিভারপুলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারাও শুক্রবার শ্রদ্ধা জানান এই স্মৃতিস্তম্ভে, ছিলেন জোতার পরিবারের সদস্যরাও।