দেশের ছয় জেলায় ঝড় এবং বজ্রপাতে ১১ জনের মত্যু হয়েছে। ৭ এপ্রিল সকাল থেকে ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট এবং খুলনায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ঝড়ে গাছ পড়ে অনেক বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি অনেক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে পড়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বাগেরহাট: বাগেরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত দেড় শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসময় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কচুয়া উপজেলার চরসোনাকুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩০) মারা যান। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪০ থেকে ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলা ঝড়ে গাছ ও বিলবোর্ড পড়ে গিয়ে ১০ জন আহত হয়েছেন।
ভোলা: ভোলার মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায় রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে অসংখ্য বাড়ি এবং গাছ বিধ্বস্ত হয়েছে। লালমোহনে ঘর চাপা পড়ে হারিস (৪৫) ও বজ্রপাতে বাচ্চু (৪০) নামের দুই জন মারা গেছেন। লালমোহন উপজেলার ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঝালকাঠি: ঝালকাঠির দুই উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খুলনা: খুলনার ডুমুরিয়ায় বজ্রপাতে মো. ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৯) নামে এক মৎস্যচাষির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গুটুদিয়ার কোমলপুর গ্রামে মারা যান তিনি। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে রাতুল (১৩) নামে এক শিশু ও গাছের নিচে চাপা পড়ে সাফিয়া রহমান (৯০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে অনেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পিরোজপুর: পিরোজপুরে ঝড়ে কয়েকশ বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এ সময় গাছ চাপায় এক নারী ও ঝড়ো বাতাসে উড়ে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।