আদালত অবমাননার দায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ৭ বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলা দায়ের করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আদালত অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে ইউনুছ আলীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং তিন মাসের জন্য আইন পেশা থেকে বিরত থাকার রায় দেন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ।
ওই রায়কে ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ বলে তৎকালীন সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে ইউনুছ আলী আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্ট আবেদন করেন।
সাবেক সাত বিচারপতি হলেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি ওবায়দুল হাসান (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো.আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী বলেন, আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ এর ৭ ধারায় আইনজীবীর পেশাগত অসদাচরণ প্রমাণিত হলে বার কাউন্সিল আইনের ৩২ ধারায় ট্রাইব্যুনাল প্রমাণিত হলে পেশা সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু আপিল দ্বারা নয়।
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৪, ১০৮ অনুচ্ছেদে আপিল বিভাগে সরাসরি মামলা করা যায় না। হাইকোর্টের আদালত অবমাননা রায়ের বিরুদ্ধে অনুচ্ছেদ ১০৩ (২) (গ) অনুযায়ী আপিল বিভাগে আপিল হয়। সংবিধান ১০৪ অনুচ্ছেদে বিচারাধীন আপিলে সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারের জন্য যেরুপ প্রয়োজন সেইরুপ আদেশ দিতে পারবে, কিন্তু সরাসরি কোনো মামলায় নয়।
সরাসরি আপিল বিভাগে আপিল হয়। উক্ত বিচারাপতিগণ ক্ষমতা বহির্ভূতভাবে শপথ ভঙ্গ করে আমাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তবর্তী আদেশ দিয়ে প্রাকটিস ডিবার্ড করে, যা সংবিধান ১১ অনুচ্ছেদে মানবাধিকার লংঘন। আপিল বিভাগে ওই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার খর্ব করে।
এ মামলার অন্য চার বিচারপতি হলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ইমান আলী, মির্জা হোসেন হায়দার, আবু বকর সিদ্দিকী ও মো. নুরুজ্জামান ননী।