সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মায়ামি সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মাঠে নেমে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দর্শকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।
তবে ভিআইপি, আয়োজক ও কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে গ্যালারি থেকে সাধারণ দর্শকদের পক্ষে তাকে স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব হয়নি। স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনেও মেসির পরিষ্কার দৃশ্য না দেখানোয় হতাশা আরো বাড়ে। এরপর ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগানে স্টেডিয়াম মুখর হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় যখন নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসিকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে নেওয়া হয়।
ক্ষুব্ধ দর্শকদের একাংশ মাঠের দিকে বোতল ছুড়ে মারেন এবং গ্যালারিতে থাকা ব্যানার, হোর্ডিং ও প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করেন। কয়েকজন দর্শক ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢোকারও চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করতে হয়।
লোহার তৈরি এই মূর্তিতে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মেসিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মাত্র ৪০ দিনে নির্মিত এই মূর্তিকে ঘিরে লেক টাউনে বিপুলসংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর এটি লিওনেল মেসির প্রথম ভারত সফর। ১৪ বছর পর কলকাতায় তার আগমন পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে।