রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা–মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা (২০) ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহকর্মী আয়েশা জানিয়েছেন এই ডাবল মার্ডারের কারণও।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে গৃহকর্মী আয়েশা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, তাকে চুরির অপবাদ দেয়া হয়েছিল। সেই ক্ষোভে সে মা-মেয়েকে হত্যা করেছে।
হত্যাকাণ্ডে আয়েশা একা জড়িত ছিলেন নাকি আরও কেউ ছিল অথবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য অন্যকিছু কি না, তা-ও যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
এর আগে, গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়ে নাফিসার শরীরে ছিল চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন।