শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বিমানবন্দরের বহুতল কার পার্কিংয়ের নিচ তলায় এ অভিযান চালানো হয়।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আটক নূরুল আলম নামীয় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। এপিবিএন সদস্যরা এ সময় তাকে আটক করে। তাকে পুলিশ অফিসে নিয়ে এসে শরীর তল্লাশি করলে গলায় ঝুলানো কাপড়ের ব্যাগ, জুব্বা এবং পায়জামার ডান পকেট থেকে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার এবং ১৩ হাজার ৯৭০ সৌদি রিয়াল জব্দ করা হয়। স্বর্ণালংকারগুলোর মান ২১, ২২ এবং ২৪ ক্যারেট।
নূরুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারগুলো বিভিন্ন দেশ হতে অজ্ঞাতনামা যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনয়ন করে। আটককৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এয়ারপোর্ট এপিবিএন কর্তৃক এ পর্যন্ত মোট স্বর্ণ উদ্ধারের পরিমাণ ২৮ কেজি ৫০৮.৩৮ গ্রাম ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর অপারেশনাল কমান্ডার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, “বিমানবন্দর এলাকায় চোরাচালান রোধ ও অন্যান্য অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। স্বর্ণ ও মাদক চোরাচালানের তৎপরতা রোধে এপিবিএন সবসময়ই তৎপর। বিমানবন্দর ব্যবহার করে যেকোনো চোরাচালান রোধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”-নিউজ২৪