মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন মাইকি শেরিল। অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি নিউ জার্সির প্রথম নারী গভর্নর এবং প্রথম নারী ডেমোক্র্যাট গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিউজার্সি অঙ্গরাজ্য ডেমোক্রাটদের ঘাঁটি বা ‘ব্লু স্টেট’। গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই রাজ্যে ট্রাম্প হারেন।
মঙ্গলবার ( ৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেরিল রিপাবলিকান প্রার্থী জ্যাক সিয়াতেরেল্লিকে পরাজিত করেছেন। এই জয় নিউ জার্সির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ৩০ লাখের বেশি ভোট পড়ে। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ ভোট পান মাইকি শেরিল, যা প্রায় ১৬ লাখ ৮২ হাজার ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যাক সিয়াতেরেল্লি পান ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট।এরইমধ্যে হার স্বীকার করেছেন সিয়াতেরেল্লি।
এর মধ্য দিয়ে শেরিল নিউ জার্সির ৫৭তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। এর ফরে নিউজার্সি আবারও ডেমোক্র্যাটদের হাতে রইল। যদিও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট বাড়ায় ধারণা করা হচ্ছিল, অঙ্গরাজ্যটি হয়তো এবার রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাইকি শেরিলের এই জয় শুধু নারী নেতৃত্বের অগ্রগতি নয়, বরং নিউজার্সির রাজনীতিতে উদারনীতির প্রতি জনগণের আস্থারও প্রতিফলন। নির্বাচনোত্তর এক বক্তব্যে শেরিল বলেন, এই জয় নিউজার্সির জনগণের। আমরা একসঙ্গে এমন এক রাজ্য গড়ব যেখানে প্রত্যেকের কণ্ঠস্বর শোনা হবে।
নিউজার্সির গভর্নর পদে এই নির্বাচন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের মূল কারণ নতুন গভর্নর নির্বাচিত করা, যিনি অঙ্গরাজ্যের প্রশাসনিক এবং নীতিনির্ধারণী ক্ষমতা হাতে নেবেন। এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র এবং পরবর্তী বছরের জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব নির্ধারণ করতে পারে।
শেরিল নিউজার্সির ইতিহাসে প্রথম নারী ডেমোক্র্যাট গভর্নর হতে যাচ্ছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যাক সিয়াতারেল্লি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি এই পদে তৃতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। নিউজার্সির নির্বাচনের এই ফলাফল ডেমোক্র্যাটদের জন্য ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শেরিলের জয় শুধু রাজ্য পর্যায়ে নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতেও প্রগতিশীল নীতির প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারে।