প্রায় পাঁচ ঘণ্টা গড়িয়ে গেলেও নেভানো যায়নি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন। তবে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের মোট ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে।
আগুনের কারণে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। যাত্রী চেকিং ও বোর্ডিং বন্ধ রয়েছে। অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। পরিবর্তন হয়েছেন অনেকগুলো ফ্লাইটের উড্ডয়ন সময়। ঢাকামুখী অনেকগুলো ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি কলকাতায় অবতরণ করেছে। এছাড়া, মাঝপথ থেকে ফিরে গেছে অনেকগুলো কার্গো উড়োজাহাজ
আজ শনিবার ( ১৮ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট রওনা হয়। আগুন ছড়াতে থাকলে ইউনিটের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। দুপুর ২টা ৩৪ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে আরও ইউনিট যোগ হয়ে এখন মোট ৩৭টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া উদ্ধার সহায়তায় যোগ দিয়েছে বিজিবির ২ প্লাটুন সদস্য।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় দিকে কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফ্লাইট চলাচল সাময়িক স্থগিত রয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি আরও জানান, কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত আটটি ফ্লাইট ডাইভার্ট হয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সিলেটে নেমেছে একটি, কলকাতাতেও গেছে একটি।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের (পণ্য রাখার স্থান) যে অংশে আগুন লেগেছে, সেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। শাহজালাল বিমানবন্দরের পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি স্থানে কার্গো ভিলেজ। আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এটির অবস্থান বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের পাশে। এই গেটকে হ্যাঙ্গার গেট বলা হয়। আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গেট আছে ৩টি। আগুন লাগে কমপ্লেক্সের উত্তর দিকে, ৩ নম্বর গেটের পাশে।