ইসলামী ব্যাংকের সাড়ে ৫ হাজার কর্মকর্তাকে স্পেশাল অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট বয়কট করার অভিযোগে বরখাস্ত ও ওএসডি করার প্রতিবাদ ও চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা।
আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে পৌনে ১২টার দিকে সড়কের ওপর বসে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে মহাসড়কের উভয় লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
অবরোধ চলাকালীন আন্দোলনরত কর্মকর্তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ‘অবৈধ ম্যানেজমেন্ট, মানি না মানব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় সাত দফা দাবিও তুলে ধরেন বিক্ষোভকরারী।
আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো—কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়া যাদেরকে টার্মিনেট করা হয়েছে তাদেরকে স্বপদে বহাল করতে হবে, পরীক্ষা বয়কটের কারণে যেসব পানিশমেন্ট ট্রান্সফার দেওয়া হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, বৈষম্যহীন ও রাজনীতিমুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, পরীক্ষার নামে প্রহসনমূলক, শর্তযুক্ত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সব ধরনের এসেসমেন্ট টেস্ট বন্ধ করতে হবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন শাখা-উপশাখায় চট্টগ্রামের অফিসারদের ওপর যে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তা উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এসেসমেন্ট পরীক্ষা বয়কটের কারণে ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, সাধারণ ডায়েরি প্রত্যাহার করতে হবে এবং সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব অফিসারকে বিনা শর্তে কর্মে ফিরিয়ে নিতে হবে। দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দাবি পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আগামীকাল রবিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধন শেষে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীকের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি জানান।