আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা হলভিত্তিক ভোটার যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে ভোটগ্রহণ করেছি। প্রতিটি বুথে একাধিক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেছেন। এছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটি সিসিটিভির আওতায় ছিল এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে তার কাছে কোনো প্রার্থী বা সমর্থক পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারচুপির অভিযোগ আসেনি।
তিনি বলেন, কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে, যা ফল বিলম্বের একমাত্র কারণ। যারা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে জাকসুকে বিতর্কিত করতে চেয়েছে। যদি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্যের অভিযোগ থাকে, তাহলে ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ না করে আজ কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? এ থেকেই বোঝা যায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক সম্পৃক্ত রয়েছেন। এখানেও সবকিছু সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই হচ্ছে। ভালোমন্দ তারা বিচার করবেন। তবে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারচুপি কিংবা জালভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব। কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না।