শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
জাতীয় কবির সমাধির পাশে সমাহিত শহীদ ওসমান হাদি ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ-স্বচ্ছ তদন্ত চায় জাতিসংঘ হাদির মৃত্যুতে ব্রিটিশ হাই কমিশনের শোকবার্তা ইসরায়েলের সাথে গোপনে বিপুল অর্থের প্রতিরক্ষা চুক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাতের;ইন্টিলিজেন্স অনলাইনের প্রতিবেদন রাজধানীতে উদীচী কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে আজ দেশে আসছে সুদানে নিহত ৬ বাংলাদেশি সেনার মরদেহ ভারত পরিস্থিতি ‘পর্যবেক্ষণ’ করলেও, ‘হস্তক্ষেপ’ করবে না ;বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিবৃতি ‘বাম, শাহবাগি, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’—জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি মোস্তাফিজ ওসমান হাদির জানাজা উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা নির্বাচন বানচাল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই পত্রিকা অফিসে হামলা, মানববন্ধনে প্রথম আলোর কর্মীরা

জাকসুতে ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেব: অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৫:২৬ অপরাহ্ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন যে নির্বাচনে কারচুপি বা জাল ভোট হয়েছে, তাহলে তিনি চাকরি ছাড়বেন, এমনকি পেনশনের টাকাও গ্রহণ করবেন না।

আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা হলভিত্তিক ভোটার যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে ভোটগ্রহণ করেছি। প্রতিটি বুথে একাধিক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেছেন। এছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটি সিসিটিভির আওতায় ছিল এবং জায়ান্ট স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে তার কাছে কোনো প্রার্থী বা সমর্থক পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারচুপির অভিযোগ আসেনি।

নির্বাচন কমিশনের এমন অবস্থানের পরও কিছু প্রার্থী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে এখনও প্রশ্ন রয়ে গেছে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে। যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে—এই নির্বাচন ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর।

তিনি বলেন, কিছু মানুষের দাবির কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে হয়েছে, যা ফল বিলম্বের একমাত্র কারণ। যারা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে জাকসুকে বিতর্কিত করতে চেয়েছে। যদি ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো সদস্যের অভিযোগ থাকে, তাহলে ভোটগ্রহণের দিন পদত্যাগ না করে আজ কেন তিনি পদত্যাগ করলেন? এ থেকেই বোঝা যায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভোট গণনার কাজে একাধিক শিক্ষক সম্পৃক্ত রয়েছেন। এখানেও সবকিছু সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই হচ্ছে। ভালোমন্দ তারা বিচার করবেন। তবে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, কারচুপি কিংবা জালভোটের মতো কোনো ঘটনা প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে চলে যাব। কোনো পেনশনের টাকাও গ্রহণ করব না।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর