এই নৌমিশনের সংগঠক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, ছয়টি মহাদেশের বিভিন্ন দেশ—যেমন স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ—এই মিশনে অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা কেউই কোনো রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, বরং সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন।
নৌবহরের প্রথম অংশে ডজনখানেক ছোট আকারের জাহাজ রয়েছে, যেগুলোতে চিকিৎসক, মানবিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী এবং জরুরি সহায়তা সামগ্রী বহন করা হচ্ছে। বহরটি গত ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এবং ৪ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়ায় পৌঁছে দ্বিতীয় দলের সঙ্গে একত্রিত হয়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণে জাহাজগুলোর নির্দিষ্ট অবস্থান, সংখ্যা ও গন্তব্য বন্দরগুলোর নাম গোপন রাখা হয়েছে। তবে প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে তাদের ৭-৮ দিন সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্সেলোনার প্লাসা দেল রেই-তে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, আমরা মানবিক মর্যাদাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা সংঘাত চাই না, বরং শান্তিপূর্ণভাবে গাজার জনগণের জন্য সহায়তা পৌঁছে দিতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল গাজার আকাশ ও জলসীমা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অবরোধের ফলে খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী প্রবেশে কঠোর বাধা তৈরি হয়েছে। গাজা এখন কার্যত বাইরের বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন।
২০০১ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ইয়াসির আরাফাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর থেকে স্থল ও আকাশপথে প্রবেশের সুযোগ সীমিত হওয়ায় সমুদ্রপথই এখন মানবিক সহায়তার একমাত্র বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্র: এপি নিউজ