চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দুদফা সংঘর্ষের পর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাতভর সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতির পর আজ রোববার ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুই নম্বর গেইট এলাকায় ফের স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩১ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা ও শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট বাজারের পূর্ব থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এ অবস্থা রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত বলবত থাকবে।
এ সময়ে এসব এলাকায় সব সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হলো। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফের স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন স্থানীয়দের ধাওয়ায় আহত হন।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২ নম্বর গেটের কাছে শাহাবুদ্দীন ভবন নামের একটি বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে সময়ে এ ঘটনার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসজুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে আসে ২ নম্বর গেটের দিকে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই মেয়ে শিক্ষার্থী রাত করে আসায় বাসার দরজা খুলতে অপারগতা জানান দারোয়ান। পরে ওই বাসার আরও কিছু মেয়ে শিক্ষার্থী এসে দরজা খোলার জন্য জোর করে। পরে গেট খোলার পর ওই দারোয়ান ও মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ওই নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তুলে দারোয়ান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাসায় আসি, তখন গেট লাগানো ছিল। এমনিতে রাত ১২টা পর্যন্ত বাসায় ঢোকা যায়। আমি অনেকক্ষণ ধরে ডাকছিলাম গেট খোলার জন্য কিন্তু দারোয়ান গেট খুলতেছিলেন না। একপর্যায়ে যখন আমার রুমমেটরা দরজা খুলতে তাকে বাধ্য করল তখন তিনি আমার ওপর চড়াও হন। আমাকে মারধর করেন আমার গায়ে হাত তোলেন। ঘাড়ে চড় মারেন।