বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গুজব অনেকটা কমেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জয়, পুতুল ও ববিসহ ৮ জনের নামে মামলার অনুমোদন পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭৪৮ জন ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু ঢাকা জেলার আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সসমূহ ২০২৬ সালের জন্য নবায়নের সময় নির্ধারণ ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রকাশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি নিউজার্সির প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন শেরিল ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর হয়ে ইতিহাস গড়লেন অ্যাবিগেল

সংসদের ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠন হবে পিআর পদ্ধতিতে, দ্বিমত বিএনপি ও সমমনা জোটের

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

আগামীতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ১০০ সদস্যবিশিষ্ট হবে এবং এর সদস্যরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) মনোনীত হবেন অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলো যে হারে ভোট পাবে, সেই হারে দলগুলোর মধ্যে এসব আসন বণ্টন করা হবে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি ও তাদের সমমনা জোটগুলো।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার ২৩তম দিনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি এবং তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি। তারা বলেছে, জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনীত হতে হবে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবে সমর্থন  জানিয়েছে।

দিনের শুরুতে কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, আলোচনা পর্ব আজই শেষ করার চেষ্টা করা হবে এবং দ্রুত চূড়ান্ত সনদ তৈরি করে দলগুলোর হাতে তুলে দেয়া হবে। এরপর হবে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

এদিকে উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনয়নে দলগুলোর মধ্যে মত

বিরোধ রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রস্তাব করেছে, সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের ভিত্তিতে সংখ্যানুপাতিকভাবে সদস্য মনোনয়ন দেয়া হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু সমমনা দল এ প্রস্তাব সমর্থন করলেও বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি এর বিরোধিতা করেছে। তারা প্রস্তাব করেছে, সংসদে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনীত হওয়া উচিত।

এছাড়া সিপিবি, বাসদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, দেশের বর্তমান বাস্তবতায় এটি অপ্রয়োজনীয়।

কমিশন জানায়, উচ্চকক্ষে আইন প্রণয়নের স্বতন্ত্র ক্ষমতা থাকবে না। অর্থবিল ব্যতীত অন্যান্য বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে উপস্থাপিত হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল এক মাসের বেশি আটকে রাখতে পারবে না। এই সময়ের মধ্যে অনুমোদন না দিলে, সেটিকে উচ্চকক্ষের অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।

নিম্নকক্ষের প্রস্তাবিত বিলগুলো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে, তবে উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে।

আর যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সেই সব সংশোধন আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।

আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, সিপিবি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈঠক পরিচালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর