লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন এখনো ১৫ জন। এ ঘটনায় ছয় জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই হামলার পরপরই ঘটনাস্থল ও আশপাশে রাতভর অনুসন্ধান উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
হুতিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রিসের মালিকানাধীন ‘এটারনিটি সি’ নামের পণ্যবাহী জাহাজটিতে একটি নৌযান ব্যবহার করে এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা করেছেন যোদ্ধারা। গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইয়েমেনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, হুতিরা জীবিত অনেক ক্রু সদস্যকে অপহরণ করেছে এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে। আর ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রুদের মধ্যে ২১ জন তাদের নাগরিক ছিলেন। একজন রাশিয়ান নাগরিক যিনি আক্রমণে গুরুতর আহত হন এবং একটি পা হারিয়েছেন।
রোববার লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী, গ্রীক-পরিচালিত আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ, ম্যাজিক সি-তে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর, হুতিরা এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, জাহাজটি অধিকৃত ফিলিস্তিনের বন্দরে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী একটি কোম্পানির মালিকানাধীন।
মঙ্গলবার হুতিদের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সশস্ত্র ব্যক্তিরা জাহাজে উঠে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, যার কারণে জাহাজটি ডুবে গেছে। ম্যাজিক সি কার্গো জাহাজে ২২ জন ক্রুকে একটি পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বাণিজ্যিক জাহাজ নিরাপদে উদ্ধার করেছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং ছোট নৌকা দিয়ে হামলার মাধ্যমে প্রায় ৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্যবস্তু করেছে। তারা এখন পর্যন্ত চারটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, পঞ্চমটি আটক করেছে এবং কমপক্ষে সাত ক্রুকে হত্যা করেছে।
হুতি গোষ্ঠী বলেছে, তারা গাজায় ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে এবং দাবি করেছে, তারা কেবল ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পর্কিত বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনে যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে ইঙ্গে-মার্কিন জোট।