ইতোপূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পেতে বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রয়োজন হতো। তবে এখন দেশটিতে কোনোরকম ব্যবসা বা সম্পত্তিতে বিশাল বিনিয়োগ ছাড়াই ভারতীয় এবং বাংলাদেশিদের জন্য চালু হয়েছে মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসা। এ ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ মিলবে।
আজ সোমবার (০৭ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশকে নিয়ে শুরু হওয়া এই পাইলট প্রকল্পটি চালু হয়েছে । আগে দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পেতে দেশটিতে কোনো ব্যবসা অথবা কমপক্ষে ২ মিলিয়ন দিরহাম (৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বেশি) মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হতো। তবে, নতুন ‘মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা নীতি’র আওতায় ভারতীয় ও বাংলাদেশিরা ১ লাখ দিরহাম (প্রায় ৩৩ লাখ টাকার কিছু বেশি) ফি দিয়ে দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদন প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে ‘রায়াদ গ্রুপ’। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আয়ুব বলেন, ইউএই গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ।
দ্য ইকোনমিকস টাইমস জানিয়েছে, আবেদনকারীদের মানি লন্ডারিং, ফৌজদারি রেকর্ড ও সামাজিক মাধ্যমে কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি আবেদনকারীর সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, স্টার্টআপ, বাণিজ্য বা পেশাগত খাতে সম্ভাব্য অবদানও বিবেচনা করা হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে রায়াদ গ্রুপ কাগজপত্র ইউএই সরকারের কাছে পাঠাবে। অনুমোদন পেলে আবেদনকারীকে আবেদন প্রক্রিয়ায় ইউএই-তে যেতে হবে না। ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকরা ওয়ান ভাস্কো সেন্টার, রেজিস্টার্ড অফিস, রায়াদ গ্রুপের অনলাইন পোর্টাল বা কল সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
এই নতুন ভিসার অন্যতম বড় সুবিধা হলো, এটি সম্পত্তি-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসা থেকে আলাদা। সম্পত্তি-ভিত্তিক ভিসা সম্পত্তি বিক্রি বা ভাগ হয়ে গেলে বাতিল হয়ে যেতে পারে, কিন্তু মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা একবার পেলে তা স্থায়ী হবে।
এই ভিসা আজীবন বসবাসের অধিকার ছাড়াও পরিবার, গৃহকর্মী ও ড্রাইভার স্পন্সর করার সুযোগ দেবে। পাশাপাশি যেকোনো ব্যবসা বা পেশাগত কাজ করার স্বাধীনতাও থাকবে।