বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম।
তিনি বলেন, শেষ রাতে সমু চৌধুরীকে তার খালাতো ভাই অপুর কাছে হস্তান্তর করেছি। এসময় অভিনয়শিল্পী সংঘের কয়েকজন সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে বুধবার (১১ জুন) রাত ৯টার দিকে ঢাকা থেকে একজন পাঠাও মোটরসাইকেল রাইডারের মাধ্যমে উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারে আসেন সমু চৌধুরী। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে মাজারের পাশে একটি গাছের নিচে গামছা পরে সমু চৌধুরীর শুয়ে থাকার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে প্রথমে খালি গায়ে গামছা পরা অবস্থায় সমু চৌধুরীকে দেখা যায়। পরে অবশ্য টাউজার ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সামনে তাকে কথা বলতে শোনা যায়।
এ সময় সমু চৌধুরী সবার সঙ্গে বলতে থাকেন- তিনি সুস্থ আছেন। সারারাত মাজারে ধ্যানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে একা একা হাঁটতে হাঁটতে পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রক্ষপুত্র নদে গোসল করেছেন। গোসল করে গামছা পড়ে গাছতলায় শুয়ে ছিলেন। এরমধ্যে কে বা কারা ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।
সমু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ- আল-মামুন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হন।
দিনব্যাপী আলোচনায় থাকা সমু চৌধুরীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন কথা জানতে চান চিকিৎসক। সমু চৌধুরী জানান, তিনি এর আগেও এই মাজারে আরও ৩-৪ বার এসেছিলেন। তিনি মুখী শাহ্ মিসকিনের ভক্ত। এছাড়াও সমু চৌধুরী অন্য সব কথাবার্তাও ঠিকঠাক বলার পর রাতে চিকিৎসক জানিয়ে দেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। তবে সমু চৌধুরীকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
১৯৯৫ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘আদরের সন্তান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর ‘দোলন চাঁপা’, ‘শত জনমের প্রেম’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘দেশ দরদী’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধূ’সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।-নিউজ২৪