রমজান মাসজুড়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ছিল সুনসান নীরবতা। হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টগুলো বিশেষ ছাড় দিয়েও পায়নি অতিথি। বন্ধ ছিল পর্যটক নির্ভর রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য ব্যবসা। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল, গেস্ট হাউসও এখন ভরে গেছে পর্যটকে।
প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোধ উপেক্ষা করে আজ মঙ্গলবার ঈদের পরের দিন সকাল থেকে দীর্ঘ সৈকত মেতেছে লাখো পর্যটকের আনন্দ উল্লাসে। সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন আগত পর্যটকরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। গরম উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরও পর্যটকে মুখরিত।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রিফাত বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। তবে প্রচণ্ড গরম। তারপরও সৈকতের আওয়াজ শুনতে পেরে আমরা অনেক খুশি।
ময়মনসিংহ থেকে আগত পর্যটক তাস্নিম জারা বলেন, এই প্রথমবার পরিবারের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে এলাম। হোটেল বুকিং দিয়ে আসিনি বলে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছি। ভালো মানের হোটেল ৪-৫ হাজারের নিচে পাচ্ছি না। এ
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আজ ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে তারকা মানের হোটেলগুলো প্রায় বুকিং রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছে।
হোটেল কক্স টু ডে এর জেনারেল ম্যানেজার তালেব বলেন,রমজানের মন্দা কাটিয়ে ঈদের ছুটিতে আমাদের সব রুম বুকিং আছে। পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। আমরা পর্যটকদের বরণ করে নিচ্ছি। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, আজ থেকে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। আগামীকাল থেকে আরও বাড়বে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পর্যটকদের সুবিধার জন্য হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।