বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
আ. লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযুষ কান্তি মারা গেছেন ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪ জন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাঠের ময়লার স্তূপে আগুন জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর স্থগিত ৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের সোনাদিয়া দ্বীপের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্প প্রাথমিকের ১০,২১৯ সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হাসিনা, জয় ও পুতুলের দুর্নীতির মামলায় ৭৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্রসহ সাবেক ছাত্রদল নেতা ও তার সাত সহযোগী আটক সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিলো হাইকোর্ট

এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের রায় বহাল

নিউজ ডেস্ক | মেট্রোটাইমসটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১:৫৮ অপরাহ্ন

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা  মামলা ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলটি  রাষ্ট্রপক্ষ আজ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আপিল বিভাগের জেষ্ঠ্য বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ লিভ টু আপিলটি  খারিজের আদেশ দেন।

আজ সোমবার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। আর রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, ব্যারিস্টার কামারুন মাহমুদ দীপা।

এই আদেশের ফলে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে বিচারে বাধা রইলো না বলে জানান ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে ওই তরুণীকে (২০) ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে যান। তবে তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‌্যাব। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেন। আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল অপহরণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ গঠন করেন। একই আদালত ২০২২ সালের ১১ মে গণধর্ষণের ঘটনায় করা চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।

একপর্যায়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই মামলার বিচার চেয়ে মামলার বাদী তরুণীর স্বামী হাইকোর্টে  রিট করেন। সে রিটের রুলের শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা  মামলা ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।


এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর