বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক শিল্প।এই খাতের সংগঠন বিজিএমইএ এবার বাংলাদেশ ফুটবলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আজ রোববার ( ৩০ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও বিজিএমইএ’র মধ্যে এক বছরের জন্য সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে। এই সময় দুই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহায়তা করবে, এমনটাই জানিয়েছেন দুই পক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দিনটিকে ‘ফুটবলের জন্য মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্প বাংলাদেশের বৈশ্বিক পরিচয়ের বড় একটি অংশ। আজ থেকে ফুটবলও সেই প্রতিনিধিত্বের অংশ হবে। আমাদের লক্ষ্য একই বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে আরও শক্তভাবে তুলে ধরা।’
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান বাবুও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই সম্মিলিত উদ্যোগ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত পোশাক শিল্প। আমরা চাই ফুটবলও দেশের আরেকটি শক্তিশালী পরিচয়ে পরিণত হোক। বিজিএমইএ সে লক্ষ্যেই বাফুফেকে পূর্ণ সমর্থন দেবে।’
ফুটবলের পুরোনো জনপ্রিয়তা আবার ফিরে আসছে এমন মন্তব্য করে তিনি জেলা পর্যায়ে ফুটবলের উন্নতিতে বাফুফের আরও মনোযোগ চান। তিনটি জেলায় সাম্প্রতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অবকাঠামোসহ নানা ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে, যা কাটাতে বাফুফের বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা জরুরি।
বিজিএমইএ’র সঙ্গে যুক্ত বিশাল শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ফুটবল আরও ছড়িয়ে দিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান বাফুফে সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা কোচিং ও রেফারি প্রশিক্ষণের আয়োজন করব। এতে করে তারা আরও সরাসরি ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।’
জাতীয় দলের কিট স্পন্সর দৌড় নিয়ে কোনো বিরোধ দেখছেন না বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। বরং তিনি মনে করেন, বিজিএমইএ’র আন্তর্জাতিক মানের জার্সি ও পোশাক উৎপাদনের দক্ষতা বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
ফাহাদ করিম আরও বলেন, ‘বিজিএমইএর পণ্য আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্র্যান্ডিং করব। একই সঙ্গে বিজিএমইএও ফুটবলকে দেশ-বিদেশে প্রচার করবে। তৃণমূলে টুর্নামেন্ট আয়োজনেও তারা যুক্ত হবে।’
বিজিএমইএ পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরীর উদ্যোগে যাত্রা শুরু হওয়া এই সমঝোতার সমন্বয় করেন বাফুফে কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল। দুই পক্ষের নির্বাহী কমিটি ও পরিচালকদের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ফুটবলের সঙ্গে বাণিজ্য জগতের নতুন এক সহযোগিতার সূচনা হলো।